শিশু ও টিনএজারদের মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো অনলাইনে উপযুক্ত কনটেন্ট নির্বাচন করা। ইন্টারনেটে অসংখ্য তথ্য এবং কনটেন্ট রয়েছে। কিন্তু সব কনটেন্ট শিশুদের বা টিনএজারদের সামনে আসার উপযোগী না। এমনকি সেগুলো তাদের জন্য ক্ষতিকর। যেমন, সহিংসতা, অশ্লীলতা, মিথ্যা তথ্য ইত্যাদি।
প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন যেসব সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন-
১. গুগল ফ্যামিলি লিংক (Google Family Link)
• স্ক্রিন টাইম সীমিত করা: অর্থাৎ শিশুদের ডিভাইস ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
২. অ্যাপল স্ক্রিন টাইম (Apple Screen Time)
অ্যাপল স্ক্রিন টাইম আইফোন, আইপ্যাড এবং ম্যাক ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবেন।
• অ্যাপ ব্যবহারের সময় সীমিত করতে পারবেন।
• কনটেন্ট ফিল্টারিং এর মাধ্যমে অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ব্লক করতে পারেন।
৩. মাইক্রোসফট মিলি সেফটি (Microsoft Family Safety)
মাইক্রোসফট ফ্যামিলি সেফটি উইন্ডোজ এবং এক্সবক্স ডিভাইসে ব্যবহারযোগ্য একটি টুল।
• স্ক্রিন টাইম ম্যানেজ করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে ডিভাইস লক করতে পারেন।
• অবস্থান ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।
৪. থার্ড-পার্টি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপস্
বিভিন্ন থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে যার মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অনলাইন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যেমন-
• ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস্ (Kaspersky Safe Kids): এই অ্যাপটি শিশুদের অনলাইন কার্যকলাপ মনিটরিং, স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং অবস্থান ট্র্যাকিং করতে
• নির্দিষ্ট ডিভাইসের জন্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সীমিত করা।
• নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া।
• অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়া।
৬. অপারেটিং সিস্টেমের বিল্ট-ইন ফিচার
অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই বিল্ট-ইন প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ফিচার রয়েছে। যেমন-
• আইওএস: কনটেন্ট রেস্ট্রিকশন এবং প্রাইভেসিসেটিংসের মাধ্যমে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এটি একটি বাংলাদেশি এ্যপ যেটির মাধ্যমে আমরা শিশুদের ফোনকে আরও সেইফ করতে পারি, এই এ্যপটি ব্যবহারে অটোমেটিকলি স্ক্রিনে আশা যে কোন নন মাহরাম ও ১৮+ কন্টেন্ট ব্লার ও ব্লক হয়ে যাবে, এতে করে শিশুর বিকাশে তার সিস্টেমটি হয়ে উঠবে আরও মনোরম, এ্যপটি শুধু মাত্র শিশুদের এ্যপেই নয় এটি চাইলে নিজের ডিভাইসেও ব্যবহার করতে পারেন।